রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকা ও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন পরিবহনের ১৮টি বাসকে সাড়ে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কলাবাগান ও রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় ডিএমপির এ দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
কলাবাগান পুলিশ বক্স সংলগ্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক এবং রমনা এলাকায় ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরিবহনের বাসে বর্ধিত ভাড়ার কোনো তালিকা টাঙানো ছিল না। এছাড়া অধিকাংশ বাসে সরকারের বাড়ান ভাড়া থেকেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে অনেকে চালককে গাড়ি ঘুরিয়ে ভিন্ন রোডে চলে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেক বাসের সুপারভাইজার ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে আগেভাগেই যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফিরিয়ে দিয়েছেন।
কলাবাগানের অভিযানের বিষয়ে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ ও গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে ডিএমপি, বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রাজধানীসহ সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। কলাবাগানের যেসব গাড়ি থামানো হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই বর্ধিত ভাড়ার তালিকা পাওয়া যায়নি।”
রফিকুল হক বলেন, “তালিকা না থাকায় যাত্রীরা বুঝতে পারছেন না কোনো জায়গা থেকে কোথায় ভাড়া কত। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন চালক ও সুপারভাইজার। আমরা যেগুলোতে পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা করেছি। বেলা দুইটা পর্যন্ত ৮ টি গাড়িতে মামলা করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার টাকা।”
শাহবাগের অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাস বলেন, “আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০টি বাসকে জরিমানা করা হয় ২৪ হাজার টাকা।”