বাংলাদেশে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘বৈষম্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, “আজকের বাংলাদেশ এমন অবস্থা ধনীরা সবচাইতে ধনী আর গরিবরা সবচাইতে গরিব।”
রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীতে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে হত্যা ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ‘বিনা বিচারে হত্যা-গুম ও নির্যাতন, আর কতকাল সইবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নওগাঁ সরকারি কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে মোশাররফ হোসেন বলেন, “স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণের সকল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বর্তমান সরকার। না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের কী দোষ? এ দেশেতো দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।”
তিনি বলেন, “সরকার সকল দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে তারা আজ দিশেহারা। এ জন্য বুঝতে পারছে না কখন কি করতে হবে। এ সরকারের অধীনস্থ যে কর্মকর্তারা তারাও কিন্তু অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা। এ সরকারের হুকুমে তারা যে অন্যায়গুলো করেছে, ভবিষ্যতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এ জন্য তারা নার্ভাস।”
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “আমাদের দেশে এমন কিছু হয়েছে, যার কারণে আমেরিকা স্যাংশন দিতে বাধ্য হয়েছে। র্যাবের ওপর স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। তবুও র্যাব কি পরিমাণ বেপরোয়া হয়ে জেসমিনকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “রক্ত দিয়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। কি প্রত্যাশা ছিল? প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনভাবে বসবাস করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সাম্যের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না।”
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।