আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কালু নগর স্লুইস গেটসংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
শেখ তাপস বলেন, “নাম আমাদের কাছে বিষয় না। আপনারা লক্ষ করেছেন, এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে।”
‘আগামী বুধবার (১৯ অক্টোবর) আবার পরিদর্শনে আসব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “ভবনের (অবৈধ ভবনের) যে অংশটা খালের মধ্যে বা পড়েছে, সে অংশটা থাকবে না। এত দিন যে দখল করে থাকুক, এখন তাকে ছাড়তে হবে। আর যদি না ছাড়ে তাহলে আমরা ভেঙে দেব।”
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, “আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। এরই মাঝে আমরা খননকাজ আরম্ভ করেছি।”
মেয়র আরও বলেন, “আজ থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সকলেই যৌথভাবে আমাদের সম্পত্তি পরিমাপ করছে।”
‘আমরা সীমানা চিহ্নিত করেছি, আজ থেকেই চিহ্নিত সীমানায় স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দিব’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “আমরা আশাবাদী, এই কার্যক্রম ইনশা আল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।”
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরেছি। সেটাকে ধরেই আমরা সকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করব।”
সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “যাতে করে মানুষজন হেঁটে ও সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করব যাতে মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।”
বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।