কল্পনা চাকমা, তনু, মুনিয়া এবং নুসরাতের হারিয়ে যাওয়া কিংবা নিহত হয়ে যাওয়ার কারণ বের করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারী নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে যে বৈঠক চলে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। দুপুর ১টার দিকে যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নারী সমন্বয়ক ও ৩০ জনের মতো নারী নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, ফরিদা আখতার ও শারমীন এস মুরশিদ ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা করা হলেও বিচার হয় না, এ মানসিকতা থেকে সরে আসতে হলে নারী ক্ষমতায়ন করলে হবে না, সমাজকে নারীবান্ধব করার পরিবেশ আনতে হবে বলে বৈঠকে মতামত এসেছে। কল্পনা চাকমা, তনু, মুনিয়া এবং নুসরাতের হারিয়ে যাওয়া কিংবা নিহত হয়ে যাওয়ার কারণটা বের করা। দায়ী ব্যক্তিরা যতই শক্তিশালী হোক তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বৈঠকের সবাই দাবি জানিয়েছেন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, “তাদের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের যে অ্যাজেন্ডা আছে তা ঠিক করব। প্রধান উপদেষ্টা নারী নেত্রীদের এক সঙ্গে বসার অনুরোধ করেছেন। সেখানে সরকারের কাজ করতে সুবিধা হয় এমন কিছু প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ করেন। অর্ধ সমাপ্ত কাজ করে লাভ নেই। তাই কিছু অগ্রাধিকার সুপারিশ করার জন্য যাতে বর্তমান সরকার করে দিয়ে না যায়, যা দলীয় সরকারের অধীনে করতে কষ্ট হয়ে যাবে।”
আদালতের সরকার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে করার পরামর্শ বৈঠকে এসেছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “যে ভুলগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান, সেই সংস্কার করতে গিয়ে পুরোনো ভুলগুলো পুনরায় যাতে না হয়।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পকলা বুঝেন এমন লোকদের নিয়োগ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কুকি চীন ইস্যুতে বম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে দাবি করে তা বন্ধের আহ্বান করা হয়েছে।”