অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম (৫৯)। স্বামী দেশের নামকরা চিকিৎসক। তিন ছেলেমেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত একটি সমস্যা সমাধানে কথিত এক দরবেশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন আনোয়ারা বেগম। সমস্যার সমাধানের কথা বলে কথিত সেই দরবেশ তার কাছ থেকে কয়েক দফায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
একপর্যায়ে আনোয়ারা বেগম বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন তিনি। মামলার তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্প্রতি কথিত ওই দরবেশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. তানজিল আহমেদ ওরফে তানজিদ হাসান (৩০) ও চক্রের মূল হোতা হাসেম বোরহান উদ্দিন (৪০)।
বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, চাকরি থেকে অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সময় কাটাতেন আনোয়ারা বেগম। পারিবারিক একটি সমস্যা সমাধানের জন্য উপায় খুঁজতে থাকেন। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে তার। এক ব্যক্তি নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববির ইমাম পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি কোরআন–হাদিসের আলোকে মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন।
এটা দেখে আনোয়ারা বেগম তার বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন। বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে কল করেন আনোয়ারা। অপর প্রান্তে কথিত দরবেশ খুব সুন্দর করে কথা বলে তার পারিবারিক সমস্যা শুনতে চান। পরে দরবেশ তার মোবাইল ফোন নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন। কথামতো আনোয়ারা বেগম ওই নম্বরে টাকা পাঠান। এভাবে ধাপে ধাপে তারা সাত কোটি টাকা নেন।