ঢাকার খিলগাঁও তালতলা এলাকার ‘আপন কফি হাউসের’ সামনে তরুণীকে লাঠিপেটার ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানোর পর দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে আপন কফির দুই কর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।
ওসি বলেছেন, “ঘটনাটি গত ১১ তারিখের, আজ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কফি শপটির ম্যানেজার আলামিন ও কর্মচারী শুভকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে ওই তরুণীকে লাঠি দিয়ে যাকে পেটাতে দেখা গেছে সে শুভ।”
তবে ভুক্তভোগী তরুণীর খোঁজ মেলেনি।
ওসি বলেন, “আমরা ওই তরুণীকে বিভিন্ন মাধ্যমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাকে বা তার অভিভাবককে না পেলে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করবে।”
তিনি বলেন, আটক দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণীর আচরণে ‘বিরক্ত’ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
“তারা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে মেয়েটির মানসিক সমস্যা আছে। সেদিন গিয়ে বিরক্ত করছিল। তাকে ঢুকতে মানা করা হচ্ছিল, তারপরও সে জোর করে ঢুকতে চাচ্ছিল। এ জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।”
সোমবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আপন কফি হাউসের সামনে এক তরুণীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সেখানকার এক কর্মী। পরে ওই তরুণীর দুই পায়ে দুই দফা লাঠি দিয়ে মারেন এক কর্মচারী।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই ঘটনার সমালোচনা করছেন এবং জড়িতদের শাস্তি দাবি করছেন।