রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন না পেলে ইসির সব ধরনের উদ্যোগ ‘নিষ্ফল’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, “প্রবাসী ভোটিং পদ্ধতি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের সমর্থন আশা করছি।”
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে অংশীজনের সঙ্গে আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারের শুরুতে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “আজ আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন। ইসির এ আয়োজনে অংশ নেওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। আপনাদের উপস্থিতিতে আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের কাজে আপনাদের সমর্থনের পরিচয়।”
এসময় দল, গণমাধ্যমসহ সবার আগ্রহ ও সমর্থনের কথা তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, “আমরা যখন দায়িত্ব নেই, প্রথম থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটিং আগামী নির্বাচনে চালু করার বিষয়ে উদ্যোগী হই। আমরাও ওয়াদাবদ্ধ, প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাও জাতির কাছে একই ওয়াদা করেছেন।”
নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কাজের বিষয় তুলে ধরে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “লাগসই একটা অপশন আমরা চালু করতে চাই। আপনাদের সমর্থন চাই। ছোট পরিসরে হলেও যাত্রা শুরু করতে চাই।... রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি সমর্থন না দেন আমাদের যত এক্সারসাইজ আছে ইট উইং অল অ্যান্ড ইন ফিউটিলি।”
সিইসি বলেন, “প্রবাসীরা যখন করেন বা কথা বলেন তাদের ভোটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে এসেছেন বরাবরই। গণমাধ্যমেও লেখালেখি দেখি, রাজনৈতিক নেতারাও একই বিষয়ে সোচ্চার।”
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি। ইনহাউজ এক্সারসাইজ করেছি, প্রতিষ্ঠান বিশেষজ্ঞদের সাহায্য সহযোগিতা নিয়েছি। লাগসই অপশন যেটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করতে পারি, সেটা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক বাস্তবতা, লেভেল অব এডুকেশন-সব কিছু মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাদের বিশেষজ্ঞরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন কয়েকমাস ধরে। কিছু সাজেশন দিয়েছেন। আমাদের সময়ের স্বল্পতা, সীমাবদ্ধতার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা কি করছি তা তুলে ধরা হচ্ছে। আমরা কী করেছি, কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি, অভিজ্ঞতা কী তা শেয়ার করতে চাই।”
অংশীজনের মূল্যবান পরামর্শ পেলে তা বিবেচনার আশ্বাস দেন সিইসি। তিনি বলেন, “আপনাদের পরামর্শ নিয়েই আমরা এগোতে চাই। আর সর্বোপরি, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি সমর্থন না দেন আমাদের যত এক্সারসাইজ আছে ইট উইং অল অ্যান্ড ইন ফিউটিলিটি।”