• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতে দাম বেড়েছে শিশুদের পোশাকে


মো. মির হোসেন সরকার
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
শীতে দাম বেড়েছে শিশুদের পোশাকে
ফুটপাতে ভ্যানে করে শিশুদের কানটুপি, মোজা, কাপড়ের জুতা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

দেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তবে শীতের প্রকোপ রয়েছে রাজধানীসহ সারা দেশে। শীত থেকে বাঁচতে শীতের পোশাকের দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বড়দের পাশাপাশি রয়েছে ছোটদের শীতের পোশাকের চাহিদাও। বিক্রেতারাও নানা ধরনের শীতের পোশাকের পসরা নিয়ে তৈরি।

রাজধানীর উত্তরা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ছোটদের জন্য শীতের পোশাক কেনার জন্য মার্কেটের দোকানের সামনে উপচেপড়া ভিড়। শুরুতে পোশাকের দাম কম হলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক রয়েছে শিশুদের। এরমধ্যে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকারও পোশাক রয়েছে। এসব ২-৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য। তবে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে শীতের পোশাকের কদর বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া শিশুদের কানটুপি ৬০-১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। উন্নত মানের কানটুপি ২০০ টাকাও বিক্রি করছেন কেউ কেউ।

শীতে দোকানে নানা ডিজাইনের শিশুদের ব্লেজার তুলেছেন দোকানিরা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ফার্মগেটের ফার্মভিউ মার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে এসেছে  হাবিবা নামের এক অভিভাবক। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি কিছুদিন আগে মার্কেটে এসেছিলাম একটা কাজে। তখন দেখলাম বাচ্চাদের শীতের পোশাকের দাম কম ছিল। কিন্তু আজ বাচ্চাদের পোশাক কিনতে এসে দেখি দাম বেড়ে গেছে।”

এই অভিভাবক আরও বলেন, “ব্যবসায়ীরা যখন মন চায় যেকোনো জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেন। যেহেতু এখন শীত বেশি পড়ছে, আর বাচ্চা অসুস্থ হচ্ছে তাই বাড়তি দাম দিয়েও গরম পোশাক কিনতেই হবে।

রফিক নামের আরেক অভিভাবক বলেন, “কয়েকদিন ধরে প্রচুর শীত পড়ছে। এ শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। খবরে দেখলাম ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা খুবই মর্মান্তিক। তাই এ শীতে শিশুদের রক্ষার্থে মার্কেটে এসেছি শীতের পোশাক কেনার জন্য। এসে দেখলাম দাম বেশি। কিছু করার নেই, কিনতে হবে।”

মহিউদ্দিন নামের এক পোশাক বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বিভিন্ন দামের পোশাক রয়েছে শিশুদের। এবারের সব পোশাকের দাম বেড়েছে। আমরা ক্রেতাদের দাম বাড়তির কথা বললেই নানা কথা শুনতে হয়। আমরা বেশি দামে কিনে এনে সীমিত লাভে বিক্রি করছি, এটা তাদের বোঝাতে পারি না।”

এই বিক্রেতা আরও বলেন, “শীতের শুরুতে তেমন বেচাকেনা ছিল না। সারা দেশে শীত বোঝা গেলেও ঢাকায় তেমন একটা শীত বোঝা যায়নি। তবে কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়েছে, এ শীত যদি এক মাস থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসা ভালো যাবে।”

ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি করা মঈনুল হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, “হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ফুটপাত থেকে রকমারি পোশাক কিনে। ফুটপাতে স্বল্প আয়ের লোকজন সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাচ্ছেন। তাই কেনাকাটাও বেশি হচ্ছে। তারা নিজেরসহ ছেলে-মেয়ের জন্য পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।”

Link copied!