নভেম্বরের শুরু থেকেই আবহাওয়ায় শীতের আগমনী বার্তা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছিল। তবে নভেম্বরে সেভাবে শীতের দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। ফলে পুরান ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন পোশোকের বেচা-বিক্রি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, পাটুয়াটুলী, সদরঘাটের আশপাশের ফুটপাত ঘুরে এ চিত্র দেখে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের জ্যাকেট, সোয়েটার, জাম্পার, মাফলার, কম্বল ও কানটুপিসহ নানা রকমের শীতের পোশাক কিনতে এসব মার্কেট ও ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতা বিক্রেতাদের দাম নিয়ে যুক্তিতর্কে জমে উঠেছে শীতের কাপড় বেচাকেনার মার্কেট ও ফুটপাতগুলো। তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানে নানা রকম দেশি-বিদেশি শীতের পোশাক সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তাছাড়া ক্রেতাদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড়ের ঘোষণাও দিচ্ছেন অনেক বিক্রেতা।
লক্ষীবাজারের বিক্রেতা রাজু বলেন, “আমাদের এখানেও শীতের কাপড়ের ভালো কেনাবেচা হচ্ছে। মার্কেট থেকে কোনো অংশে খারাপ নয় আমাদের শীতের কাপড় বেচাকেনা। বরং একই কাপড় বড় মার্কেটের চেয়ে ক্রেতারা এখান থেকে কম দামে কিনতে পারছেন। কাপড়ের কোয়ালিটি খারাপ না।”
হাসি রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, “আমি ভালো মার্কেট থেকেও শীতের কাপড় কিনেছি। তবে ফুটপাতেও কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখান থেকে ভালো কিছু শীতের কাপড় কিনলাম।”
কোহিনুর বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “আমরা দামের তুলনায় ভালো কাপড় পাচ্ছি, তাই মার্কেটে না গিয়ে এখান থেকেই কিনে নিলাম।”
সদরঘাটের বিক্রেতা আরমান আলী বলেন, “অন্য সময়ের তুলনায় এবার বেচা-বিক্রি ভালো। ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন না। দামাদামি করে ক্রয় করছেন।”