অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। এখন এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার।
শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর খুব বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিনপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থারত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোখা’ উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে কক্সবাজার সমুদ্র বন্ধরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও মোংলায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে আরও বলা হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় এবং উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়ার এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
রোববার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।