ঢাকার নবাবগঞ্জে দেশে আসার পর স্ত্রী নিখোঁজ হলেও জানা যায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের উপস্থিতিতে দোহার সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম নবাবগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলো আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া বেগম (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, নিহত রেহানা পারভিন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিলঝাপ এলাকার লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০ বছর আগে রেহানা পাড়ি জমিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই আওলাদ হোসেনকে বিয়ে করেন রেহানা। গ্রহণ করেন দেশটির নাগরিকত্ব। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জননী রেহানা বড় মেয়ে আহাদ নূরকে নিয়ে দেশে আসার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তজার্তিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ও ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের অনুরোধে নিখোঁজ রেহানার সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মা আইরিন আক্তার নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তের ধারাবাহিকতায় এবং মামলার চার দিনের মাথায় শেষমেশ আশুলিয়ার মৌনদিয়া চৌরাপাড়া ননদের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের আঙিনা থেকে উদ্ধার করা হয় রেহানা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ।
আশরাফুল আরও জানান, মূলত সম্পত্তির লোভে রেহানাকে অপহরণের পর খুন করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন।