• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশে ‘সন্ত্রাস বিমায়’ আগ্রহ বাড়ছে কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
দেশে ‘সন্ত্রাস বিমায়’ আগ্রহ বাড়ছে কেন
নারায়ণগঞ্জে গাজী টায়ার্সের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগে ও পরে দেশজুড়ে সহিংসতা ও নাশকতা ব্যাপকহারে বেড়েছে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। 

এমন পরিস্থিতিতে দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বিমা কোম্পানির দিকে বেশ করে ঝুঁকে পড়েছেন। তারা নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কারখানার ঝুঁকি কমাতে নাশকতা ও সন্ত্রাস বিমায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বিভিন্ন বিমা কোম্পানির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, নাশকতা ও সন্ত্রাস বিমা রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সহিংসতার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ বা নাশকতামূলক কাজের ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয়ে তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ার্সের কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানায় বারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

অনেকের দাবি, কলকারখানায় এ ধরনের নাশকতার ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু দেশ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি, তাই অতীতে নাশকতা ও সন্ত্রাস বিমায় ব্যবসায়ীদের কোনো আগ্রহ ছিল না।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) এক কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সব শিল্প কারখানা অগ্নি বিমার আওতাভুক্ত। তবে অগ্নি বিমার মধ্যে অন্তর্ঘাত বা সন্ত্রাসবাদের ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।

তথ্যমতে, আগস্টের শুরু থেকে অসংখ্য কারখানায় বারবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় উদ্যোক্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একইসঙ্গে এই কারখানাগুলোর কয়েক হাজার শ্রমিকের জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কয়েকটি কোম্পানি নাশকতা ও সন্ত্রাস বিমা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক বলেন, পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই, এখন অনেক ব্যবসায়ী নাশকতা ও সন্ত্রাস বিমা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি জানান, এ ধরনের বিমার প্রিমিয়ামের হার কত হওয়া উচিত তা নির্ধারণে তারা কাজ করছেন। আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সেটা ঠিক করতে পারবেন। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।

Link copied!