• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩০, ৬ রজব ১৪৪৬

এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিন কেন রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন বুলুর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিন কেন রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন বুলুর

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে কী কারণে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হলো? তার একটাই সফলতা বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া। যে মামলার কোনো ক্লু নেই, প্রমাণ নেই। সাহাবুদ্দিন বেগম খালেদা জিয়ার নামের সেই মামলা দিয়ে পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে।”

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ক‌বির খোকনের গাড়ি বহরে গুলিবর্ষণ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ দুদকের সাবেক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে উল্লেখ বরকত উল্লাহ বুলু ব‌লেন, “দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার সরকারের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কি না? দুদকের ৯ নম্বর আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে তারা কোনো সরকারের লাভজনক পদে যেতে পারবে না।”

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে পাকিস্তান দাওয়াত পেলেও বাংলাদেশ পাইনি। এতে বোঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র নাই। দেশে গণতন্ত্র থাকলে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পেত।”

তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল সেখানেও বাংলাদেশকে ডাকা হয়নি। এ বছরও গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। পাকিস্তান সেই সম্মেলনে দাওয়াত পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পাইনি। এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়।”

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ বলে তারা নাকি রাজপথ থেকে উঠে এসেছে। তাদের এত নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হলো? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দেওয়া হয়েছে। এই সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হতেন তাহলে আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আলোচনার একটা সুযোগ থাকত। সেই আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন।”

বুলু আরও বলেন, “এই সরকারের পতনের জন্য দেশপ্রেমিক সব সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আমরা আন্দোলন করছি। এর মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটার অধিকার ফিরে পাবে।”

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষক দলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান, ভিপি ইব্রাহিম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Link copied!