ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও অফিস পরিষ্কার রাখবেন। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়। ২৭ এপ্রিলের পর থেকে কোনো বাড়িতে-অফিসে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে।”
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন করার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিএনসিসির আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সচেতনতা কার্যক্রমে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “বাড়ি সুন্দর করার জন্য রং করা হয়। কিন্তু রং করা শেষে খালি বোতল ফেলে রাখা হয় ছাদে। বাসা কিংবা অফিসের কমোড পরিবর্তন করে ফেলে রাখা হয়। চায়ের কাপ কিংবা চিপসের প্যাকেট যেখানে–সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। এগুলোয় বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়। এসব জিনিস আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে নগদ টাকা বুঝে নিতে পারবেন।”
মেয়র আতিক আরও বলেন, “যেখানে–সেখানে এগুলো ফেলে রাখলে এডিস মশার জন্ম হয়ে আমাদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসবে। কারণ, মশা কিন্তু কাউকে চিনবে না। মশা শুধু রক্ত চেনে। কে নেতা, কে সংসদ সদস্য আর কে কোন লীগ করে, কিছুই চিনবে না।” এডিস মশার জন্ম না হলে এ শহরের বাসিন্দাদের কারও ডেঙ্গু হবে না বলেও জানান তিনি।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা উত্তর সিটির প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে (সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর) ৫০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মতবিনিময় সভা, শোভাযাত্রা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা কার্যক্রম চালাবেন এবং প্রচারপত্র বিতরণ করবেন।
সচেতনতা কর্মসূচির মতবিনিময় সভায় ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদ, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।