ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতরা বাদে সবাই বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ‘আসতে’ পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, “সরকারের গঠনমূলক সমালোচনাকারীদের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) দরজা খোলা থাকবে এবং বিটিভিতে সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করা যাবে। বিটিভি জনগণের মিডিয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “সরকারকে সন্তুষ্ট করা বিটিভির কাজ হতে পারে না। জনগণকে সন্তুষ্ট করাই বিটিভির প্রধান কাজ। বিটিভিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চেয়ে উন্নত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।”
বিগত সরকারের আমলে বিটিভির ভূমিকা প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিটিভি ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রচারে ব্যস্ত ছিল। এই নীতি থেকে বের হতে হবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে বিটিভিতে অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে। জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও নতুন কুঁড়ির মতো সাড়াজাগানো সৃজনশীল অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।”
এসময় বিটিভির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ও স্টুডিও দ্রুত সংস্কার করার আশ্বাস দেন নাহিদ ইসলাম এবং বিটিভির সার্বিক উন্নয়নে সংস্কার প্রস্তাব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বিটিভির সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার, শিল্পী সম্মানি বৃদ্ধি, পুড়ে যাওয়া অবকাঠামো সংস্কারসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয় উপস্থাপন করেন।
সভায় বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সাঈদ-উর-রহমান, উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. মাসুদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।