মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে বিহারি কলোনির কিশোর-যুবক ও হকারদের নিয়ে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত। তদন্ত করে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, এ দলটিই ১৮ ও ১৯ জুলাই মোট ১৭ বার মিরপুর মডেল থানা দখলের চেষ্টা করে।
পুলিশ বলছে, এই হামলা-ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। এ সময় তারা মেট্রো স্টেশনের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর এবং দরকারি কাগজপত্র তছনছ করে। তারা লুট করে নিয়ে যায় কম্পিউটার মনিটর, পজ মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
মেট্রো স্টেশনের ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট এবং ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরাও ভাঙচুর করে তারা। আগুন লাগিয়ে দেয় স্টেশনের বাইরে। তবে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে স্টেশনের ভেতরে আগুন দিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ বলছে, মিরপুরের জল্লাদখানা রোডের পাশের বিহারি কলোনির কিশোর-যুবকেরা আলোক হাসপাতালের গলি দিয়ে এসে মেট্রোস্টেশনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, হামলাকারীদের বিহারি কলোনি ও এর আশপাশের এলাকা থেকে জোগাড় করা হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। মিরপুর এলাকার বিভিন্ন বস্তি থেকেও বিএনপি ও জামায়াতের সদস্যরা হামলার জন্য যুবকদের ভাড়া করে নিয়ে আসে।
১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে ঢুকে পড়ে স্থানীয় বিহারি কলোনির কিশোর-যুবকেরা। প্রায় সবার হাতেই লাঠি বা লোহার রড কিংবা ইট ছিল। আবার কারো কারো কাঁধে ছিল ব্যাগ। দলে দলে তারা ঢুকতে থাকে মেট্রোরেল স্টেশনে।