• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

‘সহিংসতায় আহতরা যে দলেরই হোক সরকার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
‘সহিংসতায় আহতরা যে দলেরই হোক সরকার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার‍ ঘটনায় আহতেরা যেই দলেরই হোক না কেন সরকার তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) আহতদের দেখতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে সরকারপ্রধান এসব জানান। এ সময় তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার।”

এর আগে, আজ শুক্রবার সকালে গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে (বিটিভি) চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।

বিটিভি পরিদর্শনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিন্তু টেলিভিশনের ওপর হাত দেয়নি বা কেউই কখনো দেয়নি। কিন্তু আজকে এই টেলিভিশন সেন্টারকে যারা এভাবে পোড়ালো, একটা কিছু নেই যে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাহলে এরা কারা? এরা কী এদেশেরই মানুষ? এদের কি এই দেশেই জন্ম? একটা দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই যেন তাদের এই আক্রমণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল যেটা ছিল সারা বিশ্বের প্রতিটি বাঙালির কাছে একটা সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। যার মাধ্যমে মানুষ অল্প সময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারত। আজ সেটা বন্ধ। আবার সেই যানজট, আবার সেই পূর্বের অবস্থায় মানুষকে ফেলে দিল। আর এই টেলিভিশন সেন্টারে তারা যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যেসব জিনিস মানুষের সেবা করে মানুষের জন্য কাজ করে সেই জায়গাগুলোতেই আঘাত। তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও আগুন দিয়ে পোড়াল। গাড়িগুলো, এমনকি জাপান থেকে আনা অত্যাধুনিক সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো পুড়িয়েছে, পানি শোধনাগারে হামলা করতে গেছে, পয়ঃশোধনাগারে হামলা—এটা কি হচ্ছে? কি তাদের মানসিকতা?

Link copied!