গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর আগে আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতার দমনপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সরকার পতনের পর ইতোমধ্যে সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন। নতুন করে সাজানো হয়েছে এই ভবনটি। গেট থেকে ঢুকতেই হাতের বা পাশে আসামিদের জন্য রাখা হয়েছে কাঠগড়া। তাদের নিরাপত্তার জন্য কাঠগড়াটির চারপাশ ঢাকা রয়েছে আয়না দিয়ে।
জানা যায়, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার মামলায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।