• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন কাদেরের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ০১:২০ পিএম
৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন কাদেরের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

গত ১৫ বছরে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার যে হিসাব গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি দিয়েছে, সেই অর্থ কোথায় গেছে, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।

২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১৯টি ব্যাংকে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে দাবি করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো নিয়ে ১৫ বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই হিসাব দেয় সংস্থাটি।

সিপিডি বলছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায়। গত ১৫ বছরে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সোমবার সিপিডির প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? কোথায় আছে সেটা আগে বলেন। সেটার সন্ধান দিলে আমরা জবাব দেব। তাহলে জানান।”

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, “এখন বড়দিন উপলক্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত ইন্ডিয়ায় আছে। যারা নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি নিয়ে এত কথা বলছেন। যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি আমেরিকার বহুল প্রচলিত ঘোষণা। আমেরিকার পাঁচজন প্রতিনিধি আছে বাংলাদেশে। আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির দুই প্রধান দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকের পাঁচজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে পদক্ষেপ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।”

আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অধিকার কারও নেই। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাকে সমর্থন করি না। কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে, আমরা তার সঙ্গে আছি।”

বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির লিফলেট বিতরণ করবে কেন? নির্বাচনের বিরুদ্ধে। অসহযোগ করবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। নির্বাচনী শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা এটুকুই বুঝি।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

Link copied!