ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের অনেক জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। পুরোপুরি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বুধবার (২৯ মে)।
মঙ্গলবার (২৮ মে) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবেন, রাতের মধ্যে ৬০ শতাংশ এবং বুধবার সকালে ৮০ শতাংশ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বাকি ২০ শতাংশ গ্রাহকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও বেশ কিছু সময়। এই ২০ শতাংশ গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বলে সময় লাগবে।
এদিকে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ও এর ক্ষয়ক্ষতির প্রতিকারের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
আরইবির হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২জন। এর মধ্যে পুনঃস্থাপন সম্পূর্ণ হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০২জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ।
প্রাথমিক তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিদ্যুৎ বিভাগের ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আরইবির ঠিকাদার ও জনবলসহ ৩০ হাজারের বেশি জনবল এ পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়ার জন্য মাঠে কাজ করছেন।
পাশাপাশি ওজোপাডিকোর মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৫৪। এর মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।
প্রাথমিক তথ্যানুসারে, ওজোপাডিকোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার ৭০২ টাকা।