সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানিমন্ত্রী নসরুল হামিদের প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বনানীর ‘প্রিয় প্রাঙ্গণে’ এ যৌথ অভিযান চলে। অভিযানে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। রাজধানীর বনানীর অফিসে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভবনটিতে এই অভিযান শুরু হয়।
বনানী প্রিয়প্রাঙ্গণ ভবনে অবস্থিত হামিদ গ্রুপের অফিসে ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রিয়প্রাঙ্গন বিল্ডিংয়ের লিফট এর দুইতলায় হামিদ গ্রুপের অফিসে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের বড় ভল্টের পাশের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ৪টি বান্ডেলে দুই লাখ টাকা, ১০০০ টাকার নোট ৭৫টি (৭৫,০০০ টাকা), ২০০ টাকার নোট ১০০টি (২০,০০০ টাকা), ৫০০ টাকার ২২টি (১১,০০০ টাকা), ১০০ টাকা নোট ২৭টিসহ (২,৭০০ টাকা) সর্বমোট ৩ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়।
একই কক্ষের বাঁ দিকের আরেকটি ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ১০০টি নোট, ৫০০ টাকার ৩০টি নোট, ১০০ টাকার ১০০টি নোট, ১০০ টাকার ৪৬টি নোট, ৫০০ টাকার ৪টি নোট, ১০০ টাকার ৪০টি নোটসহ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। সবমিলিয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস রুমের দুটি ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া বিল্ডিংয়ের ছয়তলার হামিদ গ্রুপের অফিসে ১০০০ টাকার ২০টি বান্ডেল পাওয়া যায়। প্রতি বান্ডেলে ১০০টি করে নোট ছিল। এ ছাড়া ৫০০ টাকার ১২০টি নোট, ১০০ টাকার ৩টি বান্ডেল, ১০০ টাকার নোট ২০টি, ১০০০ টাকার নোট ১টিসহ সর্বমোট ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এই অফিস থেকে ৫০ পাউন্ডের ৪টি নোট, যার একটি ছেড়া, তুর্কি মুদ্রা (লিরা) ২০০ লিরার একটি নোট, ১০০ লিরার মোট ২টি, ৫০ লিরার নোট ১টি, ২০ লিরার নোট ১টি, ১০ লিরার নোট ৪টিসহ সর্বমোট ৫১০ লিরা জব্দ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, হামিদ গ্রুপের লিফটের ২-এ প্রবেশ করে নিচের ফ্লোরে গিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া লিফটের ১৩-এর বাঁ দিকের অফিস, লিফটের ১২-এর পশ্চিম পাশের অফিস, লিফটের ১১-এর পূর্ব পাশের অফিস, লিফটের ১০-এর পশ্চিম পাশের অফিস, তৃতীয় ফ্লোরের পশ্চিম পাশের অফিসের বিভিন্ন তালা, দরজা ভাঙা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া যায়।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উপস্থিত ছিলেন।