কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট লেনদেন প্রতিরোধে ‘জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ’ স্থাপনের মাধ্যমে বিনা খরচে নোট যাচাই ও গণনা সেবা দেবে ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম)।
এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশজুড়ে অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় (উপজেলা সদর পর্যন্ত) জাল নোট প্রচলন চক্রের অপতৎপরতা রোধে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ী বা ক্রেতাদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পাওয়া তফসিলি ব্যাংকগুলোর তালিকা নির্দেশনায় যুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বরসহ ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসেবে মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর আগামী ১২ জুনের মধ্যে ই-মেইল ([email protected] এবং [email protected] করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকের সমন্বয়ক হাটে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তার কাজ মনিটর করবেন।
এদিকে ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসের নেতৃত্বে নেওয়া ব্যবস্থা অনুসারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
যে জেলাগুলোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই, সেখানের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও থানা বা উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাটে স্থাপিত বুথে নোট কাউন্টিং মেশিনের সাহায্যে নগদ অর্থ গণনার সুবিধা নিশ্চিতের নির্দেশও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বুথ স্থাপন কার্যক্রমের সুবিধার্থে ও সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং সার্বিক নিরাপত্তার জন্য (প্রয়োজনে) সংশ্লিষ্ট পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বুথে নোট যাচাইয়ের সময় কোনো জাল নোট ধরা পড়লে জাল নোট ০১ (পলিসি)/২০০৭-১৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাটে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে ‘জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ’-এর ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এরইমধ্যে সরবরাহ করা ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ভিডিওচিত্র ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঈদের আগ পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন করতে হবে।
জাল নোট শনাক্তে হাটে দায়িত্ব পালনকারী কার্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।