রাজধানীর নগর পরিবহনে অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছে মেট্রোরেল। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে স্বস্তির মাঝেও রয়েছে কিছু বিড়ম্বনা। বিশেষ করে যারা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস ব্যবহার করেন। কারণ অনেক সময় তাদের এমআরটি পাসটি ‘ব্লগড’ বা ব্ল্যাক লিস্টেড (কালো তালিকাভুক্ত) হয়ে যায়। তখন এই পাসটি ব্যবহার করা যায় না।
যে কারণে কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে এমআরটি পাস
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নীতিমালায় বলা হয়েছে, যাত্রীর ব্যবহারজনিত ‘অনিয়মের’ কারণে কার্ড বা পাস কালো তালিকাভুক্ত হয়। নীতিমালা বলছে, আপাতদৃষ্টিতে ঠিকঠাক মনে হলেও সিস্টেমে পাস কালো তালিকাভুক্ত দেখানো হয়। এ ধরনের পাস যাত্রীর ব্যবহারজনিত অনিয়মের কারণে ক্লিয়ারিং হাউসের মাধ্যমে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। পাস বাঁকা হয়ে গেলে, ভাঁজ পড়লে, কাটা, ফাটা, ভাঙা, ছিদ্র থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত বলে বিবেচিত হবে।
ঢাকা মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় নির্দেশিকায় বলা আছে, এমআরটি পাস ব্যবহারে কোনো অনিয়ম করা হলে পাসটি ব্লকড হয়ে যায়।
কার্ড কালো তালিকাভুক্ত হলে কী করবেন
কালো তালিকাভুক্ত এমআরটি পাস অবমুক্ত করতে কোনো যাত্রী আগ্রহী হলে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অফিস (ইএফও)’ অপারেটরের কাছে জমা দিতে হবে। ইএফও অপারেটর কালো তালিকাভুক্ত পাসের বিবরণ রেজিস্ট্রারে লিখে নেবেন। স্টেশন নিয়ন্ত্রক জমা করা কালো তালিকাভুক্ত এমআরটি পাস যাচাই করবেন এবং সিগন্যালিং অ্যান্ড টেলিকম অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। সিগন্যালিং অ্যান্ড টেলিকম অধিশাখার কর্মকর্তা পাসটি অবমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ক্লিয়ারিং হাউস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। পাসটি ঠিক হয়ে গেলে গ্রাহককে ফোনে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।