রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন মুশফিকুর রহমান ইফাত ও তার বাবা রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তবে এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকরা ছাগলকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে তা তিনি এড়িয়ে যান।
ছাগলকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, “আমি কারোর প্রশ্নের জবাব দিব না। এটা কোনো প্রশ্ন নয়।”
এদিকে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানিয়েছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এর আগে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।”
ছাগলটি কেনার প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্মের কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানান, আলোচিত সেই তরুণ শুধুমাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটিকে খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি এখনো।
সাদেক এগ্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে ছাগলের দাম নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা, তা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল। এ জাতের নাম ‘বিটল’ এবং বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। প্রায় দুই মাস আগে এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনা বলে সাদেক এগ্রোর দাবি। ফেসবুকের এই ছাগলের সঙ্গে ওই যুবক ছবি দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এক রাজস্ব কর্মকর্তা কীভাবে এতো দামে ছাগল কিনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।