ভূমি জরিপ কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জনগণ প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, “এজন্য জরিপ কার্যক্রমকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
বুধবার (২৮ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমি উপদেষ্টা জরিপ কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করতে ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার জরিপ প্রথা তুলনামূলক স্টাডির ফলাফলের আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন।
বিগত ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ইতিবাচক অগ্রগতি ও অর্জনের কথা তুলে ধরে এএফ হাসান আরিফ বলেন, “এ অর্জনকে ধরে রাখতে হলে ভূমি জরিপ ব্যবস্থা হয়রানিমুক্ত ও ভূমি বিষয়ক অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছ, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ভূমি জাল দলিলের মাধ্যমে অর্থ ও সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি আইন আদালত অঙ্গনে মামলা জট সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে তিনি সুষ্ঠু ভূমি জোনিং ও কঠোর আইন প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।”
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, “যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি অসৎ উপায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য জমি-জমা কিনছে, তার সঠিক তথ্য দ্রুত নির্ণয়ে সমন্বিত ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে করে ভূমি বিষয়ক দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।”