যাদের মনোনয়ন দিলে বা প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদের ক্ষেত্রে সমঝোতা করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ দলকে সাতটি আসনে ছাড় দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদেরই তো মনোনয়ন দিতে হবে, কিংবা ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। যাদের মনোনয়ন দিলে বা ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদের ক্ষেত্রে তো সমঝোতা করা কঠিন। আপাতত সাতটি আসনেই তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।”
জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “১৪ দলের সঙ্গে আমরা একটি সমঝোতায় উপনীত হয়েছি। এখনো আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আমরা আলোচনায় আছি। জাতীয় পার্টি আমাদের সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার তারা (জাতীয় পার্টি) স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। আমরা ২০০৮ সালে মহাজোট হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। ২০১৪ সালে আমাদের সঙ্গে এলায়েন্স হয়েছিল। এবার তারা ইন্ডিপেন্ডেন্টলি নির্বাচন করছে, এরপরও স্ট্র্যাটেজিক্যাল এলায়েন্স যে কারও সঙ্গে হতে পারে। সে নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা আশাকরি খুব সহসা আমরা একটা সমঝোতায় উপনীতি হবো।”
ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব ও মো. শরীফুল ইসলাম এ মতবিনিময়ে অংশ নেন।