স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে এবং যেকোনো মুহূর্তে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।”
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আইনও আছে, সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ অনুচ্ছেদে বোধ হয় এ রকম একটি সুযোগ রয়েছে। এগুলোর প্রক্রিয়া চলছে।”
আজ প্রজ্ঞাপন জারি হবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো সময় আসবে। আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারব।”
সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছেন, এর মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা হলে নতুন করে সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে। ফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা মোকাবিলায় সরকারের কতটা প্রস্তুতি রয়েছে, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘জামায়াত-শিবির তো সে পরিস্থিতি তৈরিই করে ফেলেছে। এই অবস্থা তৈরির পেছনে তাদের যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের সবকিছু মেনে যাওয়ারও পরও এই আন্দোলন থামছে না এবং একটা সহিংসতার রূপ নিয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ছাত্ররা কখনোই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না, যদি তাদের পরামর্শদাতারা এই পরামর্শগুলো না দিত। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে এবং আমাদের এতগুলো মানুষ যে হতাহত হলো, শুধু কি পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, আমরাও তো প্রকাশ করব কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। সবগুলো আমরা প্রকাশ করব।”
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, “এই সমস্ত তো সব কিছু আর ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছনে থেকে যারা ছাত্রদের সামনে রেখে যারা করেছে তারা জামায়াত-শিবির, বিএনপি এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলো এর পেছনে যুক্ত হয়েছিল। এগুলো আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সে জন্যই অনেক দিনের যে চাহিদা ছিল জামায়াতকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করার, সেই প্রক্রিয়াটিই চলছে।”