যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ঢাকায় নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের বাড়তি প্রটোকল বাতিল করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৫ মে) এ বিষয়ে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ বিষয়ে দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা। এবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও জানালেন বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহারের কারণ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল বাতিলের বিষয়টি কি নোটিফাই (জানানো) করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “এখানে নোটিফিকেশনের (জানানোর) ওই রকম কোনো ব্যাপার ছিল না। যখন হোলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটল, তারপর আমরা যে রেকর্ডস দেখেছি সেখানে তাদের থেকেও আমরা কোনো রিকোয়েস্ট পাইনি বা আমাদের দিক থেকেও কোনো নোটিফিকেশন হয়নি। এটা সেই সময়ের জঙ্গিবাদের যে উত্থানের যে একটি সম্ভাবনা ছিল সেইটার বিবেচনায় এটি (প্রটোকল) দেওয়া হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “পরবর্তীতে দেখা গেছে যে, এটা মূলত ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজটাই করছে, সুতরাং তাদের আসল যে নিরাপত্তা সেটা কিন্তু অপরিবর্তিতই আছে। নিরাপত্তার দিক থেকে ঘাটতি আমরা অন্তত দেখতে পারছি না। যে কারণগুলো আমরা দেখেছি যে সময়টায় দেওয়া হয়েছিল, অ্যাডিশনাল যে নিরাপত্তার কথা বলছি আমরা দেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা ঢাকা শহরে বা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা যাই বলি না কেন, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “দ্বিতীয় হচ্ছে যে আমাদের নিজেদের সিস্টেমের মধ্যেও কীভাবে একটু সংকুচিত করা যায়, আমাদের পুলিশের সদস্যদেরও একটু স্বল্পতা আছে। এখন বলতে পারেন, টাইমিংটা। কোনো না কোনো সময় করতেই হতো, যেহেতু আপনারা নানাভাবে ব্যাখ্যা করছেন, বাট এটা এমনিতেই করা হতো।”
তিনি বলেন, “আর একটা বিষয় বলতে পারি যে আমাদের বেসিক যে সমস্যা আছে, বিভিন্ন বিদেশি দূত বা কূটনীতিকরা আছেন তাদের যে বেসিক নিরাপত্তা আছে সেখানে কখনোই আমরা কম্প্রোমাইজ করব না এবং আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।”
কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বিকল্প ব্যবস্থা রাখার কথা জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আর একটা হলো যে আমরা বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছি। আনসারের যে স্পেশাল ব্যাটালিয়ন আছে, তাদের অনেক দিন ধরেই তৈরি করা হচ্ছিল। আনসার-ভিডিপির সঙ্গে আমরা বসব এবং তাদের কী কী ফ্যাসিলিটিস আছে সেগুলো আমরা দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেব। যারা নিতে চাইবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব।”