ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে ভারতে বসে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়া বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি শেখ হাসিনাকে সংযম করার জন্য, যেন উনি এ ধরনের বক্তব্য না দেন; যেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এটার কোনো জবাব পাইনি এখনো। আমরা আজ আবার গত কয়েকদিনের কার্যকলাপের কারণে আরেকবার তাদের প্রতিবাদ নোট দিয়েছি।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রদিবাদ নোটটি দিয়েছি এবং আমরা আবারও অনুরোধ করেছি, যেন তাকে থামানো হয়। কারণ তার যে বক্তব্য প্রধানত মিথ্যা। উনি যেসব কথা উল্লেখ করছেন সেটা এক ধরনের অস্থিশীলতা উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এজন্য আমরা অনুরোধ করেছি এই অনুশীলনটা বন্ধ করার জন্য।”
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। এ ভাষণের ঘোষণা শুনে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি অর্থাৎ শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া ঘোষণা দেয় ছাত্র-জনতা। পরে গতকাল রাত ৮টার দিকেই তারা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। আজ দুপুর পর্যন্ত দেখা গেছে, বাড়িটির সামান্য অংশ টিকে আছে।