বায়ুদূষণ রোধে ঢাকার আশ-পাশের ইটভাটা ভাঙা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “বন সংরক্ষণের পাশাপাশি বন সম্প্রসারণ করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সকলের সহযোগিতা চাই।”
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ) বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে দেশজুড়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘স্মার্ট তারুণ্য বাঁচাবে অরণ্য’ শ্লোগানে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হোসেন চৌধুরী বলেন, “আর কোনো বন্যপ্রাণীকে হারাতে চাই না। পাঠ্যবই এবং পাঠ্যবইয়ের বাইরে বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে দেশব্যাপী ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে। নানা কারণে আমাদের পরিবেশ আজ সঙ্কটাপন্ন। বন্য হাতির দল থেকে শুরু করে পাখি, এমনকি সাগরের তলদেশের প্রাণীরা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।”
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “গত ১০০ বছরে দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বন্যপ্রাণীদের বিলুপ্তি ও বিপদাপন্ন হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য, যা মানুষের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা এখন কেবল দরকারি নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাই সকল পেশার মানুষের এগিয়ে আসার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদেরও সচেতন করতে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উদ্বোধনের পাশাপাশি বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিতব্য প্রথম ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের বিস্তারিত তুলে ধরে হোসেন চৌধুরী বলেন, “জাতির পিতা ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথ ধরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধীনে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওয়াইল্ডলাইফ বা বন্যপ্রাণী নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় আজ থেকে আরম্ভ হতে যাচ্ছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন।”