কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয়, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনেও হামলা চালানো হয়। এরপর জরুরি মেরামতের প্রয়োজনে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৪ জুলাই) মেট্রোরেল চালু হওয়ার বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিক বলেন, “মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু করতে পারব, আমরা এখনই বলতে পারছি না। মেট্রোরেল চালু হওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময়ও এখনো আসেনি।”
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে চলমান পরিস্থিতিতে টানা তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর সরকারি-বেসরকারি সব অফিস চালু হয়েছে বুধবার। অফিস শুরুর দিনে সকাল থেকে ঢাকার সড়কে গণপরিবহনের তীব্র সংকট দেখা গেছে। কিন্তু সহিংসতার মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে গত কয়েকদিন বন্ধের পর কাজে যোগ দিতে পারায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু গণপরিবহণে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা যায়। বুধবার রাস্তায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ ও সহযোগিতায় রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে কিছুসংখ্যক দূরপাল্লার বাস ছেড়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম।
বুধবার সকাল থেকেই ছেড়ে যায় এসব বাস। ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। ক্লাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি ঢাকার পরিস্থিতির কারণে বাড়ি ফিরছেন তারা। গত কয়েকদিন সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা।
এ বিষয়ে সায়েদাবাদ হানিফ এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মো. আবদুল আলিম বলেন, “বুধবার সকাল ৯টা থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়া শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাস ছাড়া হবে। সকাল থেকে চট্টগ্রামে একটি এবং বরিশালে দুইটিসহ মোট তিনটি বাস ছেড়েছে।”