দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে ৩৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত ২ অক্টোবর এ দাম বাড়ানো হয়।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এর মূল্য সরকার নয়, নিয়ন্ত্রণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তারা গ্রাহক, আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে দাম নির্ধারণ করে।
তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে এই মুহূর্তে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। বড় মজুত আবিষ্কার হলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বেগমগঞ্জ-৪ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাহিদা অনেক। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। এসব বিষয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এর মূল্য সরকার নয়, নিয়ন্ত্রণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তারা গ্রাহক, আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে দাম নির্ধারণ করে। বিশ্ববাজারে দাম কমলে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমবে বলেও জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।