সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ সাধুবাদ জানান তিনি।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, “সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ নির্ধারিত করে প্রজ্ঞাপন জারি। এটাই সবচেয়ে সুন্দর ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।”
এর আগে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহির্ভূত সকল সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ন্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
এ ছাড়া এ অধ্যাদেশের আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৫৯-এ প্রদন্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনঃগঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিন বার অবতীর্ণ হতে পারবে।
গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। ওই সময় কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, চাকরিতে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৩০ বছর।