প্রত্যেক সাংবাদিকের নিরাপত্তা, তাদের পেশাগত স্বাধীনতা চান বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই, প্রত্যেক সাংবাদিকের নিরাপত্তা, তাদের পেশাগত স্বাধীনতা। চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অনিবার্য বিজয়ের মাধ্যমে স্থাপিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে, সাগর-রুনি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে আমরা সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করব।”
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। অথচ দেশে গণমাধ্যমের ওপর বিভিন্ন বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০২২ সালে জানায়, বাংলাদেশজুড়ে প্রায়ই হত্যা, গুম, খুন ও অপহরণসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, এবং ১০ বছরে এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক, যার বিচার আজও হয়নি। গত ১৫ বছরে, সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের যে ৪ হাজারটির বেশি ঘটনা ঘটেছে, এর প্রায় প্রতিটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ ও দুর্নীতিবাজ নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমের তথ্যমতে এই সরকারের আমলে ৫৯ জন সাংবাদিক হত্যা হয়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫০ এর অধিক সাংবাদিক চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।”
রিজভী আরও বলেন, “ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানায়, ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-অন্যায়-অপকীর্তি, দুর্নীতি-দুরাচার নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা-নির্যাতন ও হত্যা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করা হয়েছে।”