রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভরাডুবি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “রংপুরে আমাদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা (রংপুরে) বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নৌকার প্রার্থীর দুর্বলতা আগে থেকেই জানা ছিল। জনমত জরিপেই সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে, নইলে ভোটে এত ব্যবধান হওয়ার কথা নয়। আমরা কেউ সেখানে যাইনি। তবে ব্যবধানটা মানতে পারছি না।”
কাদের আরও বলেন, “আমরা আগেই জানতাম আমরা পিছিয়ে আছি। এ জন্য আমরা পিছিয়ে আছি বলে এগিয়ে যাওয়ার জোর করে কোনো চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে সেখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
এর আগে, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বিপুল ভোটে রসিকের মেয়র নির্বাচিত হন।
বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী মো. লতিফুর রহমান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কায় ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।