হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে গুলশানে ইরানের দূতাবাসে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে রাখা শোক বইতে স্বাক্ষর করে দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন তিনি।
দূতাবাস থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজকে ইরান রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ে এসে আমরা শোক প্রকাশ করেছি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই মুহূর্তে যখন বিশ্বের অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের খুব বেশি প্রয়োজন, সেই মুহূর্তে ইব্রাহিম রাইসির মতো একজন অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ এবং জনপ্রিয় নেতা হঠাৎ দুর্ঘটনায় চলে যাওয়া এটা আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে আমি মনে করি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে ইরানের জনগণ, সরকার এবং ইরানের প্রেসিডেন্টের পরিবার-আত্মীয়স্বজন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তারা যেন এই শোক সহ্য করতে পারে সেই দোয়া করছি।”
এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি ও তার সহযাত্রীদের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
এর আগে গত রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, পূর্ব আজারবাইজান গভর্নর-জেনারেল মালেক রহমাতি, রাইসির নিরাপত্তা দলের প্রধান দ্বিতীয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি মুসাভি, আইআরজিসির আনসার আল-মাহদি বিভাগের সদস্য এবং সেইসঙ্গে অজ্ঞাতনামা পাইলট, কো-পাইলটসহ ক্রু চিফ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।