এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শিগগিরই কর্মসূচি আসছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২৫ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই মামলায় জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে প্রেরণের দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুইবার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুটি চুক্তি, ৫টি নতুন সমঝোতা স্মারক ও ৩টি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করছি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের কোনো চুক্তি না করা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না করা, একতরফাভাবে ভারতকে সব সুবিধা প্রদান করে বাংলাদেশের স্বার্থ ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।”