ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার। একই সঙ্গে রাষ্ট্র, রাজনীতিসহ প্রশাসনের সর্বস্তরে সংস্কারের দাবিও উঠেছে। আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের বিষয়ও।
এমন আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। যে সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের আচরণগত পরিবর্তনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, “ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।”
কোনো ধরনের প্রলোভন বা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, “কোনো প্রলোভন কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেছেন, “দেশ-বিদেশ থেকে নানারকমের উসকানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে তাদের নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে।”
সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে বাংলাদেশ নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে বলে মনে করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রধান বাধা দূর হয়েছে। জনগণের বাংলাদেশে জনগণের ভোটে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।”
বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা বলেন,“জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হওয়া জরুরি।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, “জনগণ এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়।”