মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়া আট বছর বয়সী শিশুটির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে আলোচনার সময় তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “ইসলাম এই ধরনের বিকৃত লম্পট অপরাধীর (ধর্ষক) প্রকাশ্য বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা যদি ইসলামের নির্দেশনা মেনে বিচার করতে পারি, তাহলে আর কেউই এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত হওয়ার দুঃসাহস দেখাবে না।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরায় বোনের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছর বয়সী এক শিশু। ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনার মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যেই মাগুরার ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যেই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসার বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, “সবার আগে শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে অপরাধীদের যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
এ সময় মামুনুল হক গাজার মুসলমানদের দুর্বিসহ দিনাতিপাত নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “গাজাবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন ছাড়া গাজা পুনর্গঠনের যেকোনো পরিকল্পনা মুসলমানদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।”
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, সহ-প্রশিক্ষণ মাওলানা হাসান জুনাইদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা আনোয়ার রাজী, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।