গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “ছাত্ররা নতুন দল করতে চাইছে। আমরা স্বাগত জানাই। ছাত্রদের একাংশ যদি অভ্যুত্থানের চৈতন্য নিয়ে, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নতুন দল গঠন করে তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে দল গঠন বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নেয় না।”
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রস্তুত হোন। কোনো প্রতিবেশী আমাদের পদানত করতে পারবে না। এই দেশের তরুণরা নতুন চৈতন্য নিয়ে নতুনভাবে গড়ে তুলবে, তবেই সম্ভব নতুন বাংলাদেশ।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, “রাজপথে আসেন, জনগণের ভেতরে থেকে নতুন দল গড়ে তোলেন। যেমনটা আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। আগামী ইতিহাসও জনগণের স্বার্থের পক্ষে, বৃহত্তর স্বার্থের পক্ষে থাকবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বাজারে গেলে মানুষের অবস্থা খারাপ। জানমালের নিরাপত্তা নেই। মানুষের জীবনে ভয়ঙ্কর সংকট। এসব সংকট দূর করা আপনাদের বড় কাজ।”
সংকট দূর করতে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভালোভাবে পুনর্গঠন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিন। সেই সহযোগিতা না নিয়ে আপনারা যদি নিজেদের মতো করে চালাতে চান, তাহলে ব্যর্থ হবেন। কিন্তু আমরাতো আপনাদের ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।”
জাতীয় রাজনৈতিক ও ছাত্র কাউন্সিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ পরিচালনা করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করেন। কিন্তু আপনারা (সরকার) এখনো সেই কাজ করতে পারেননি। এটা বিব্রতকর, বেদনাদায়ক “
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, “আহত-নিহতদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা আপনাদের (সরকার) প্রথম কাজ। দ্বিতীয় কাজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং তৃতীয় কাজ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে কাজ করা। এটা ছাড়া অন্য কিছু করলে মানুষ মেনে নেবে না।”