সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমারোচিত একটি শব্দ ‘রিসেট বাটন’। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ থেকে উচ্চারিত এই শব্দযুগল নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। রাজনৈতিক অঙ্গনেও এটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অবশেষে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, “রিসেট বাটন বলতে স্যার (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যেটা বলেছেন— তা হচ্ছে ‘ব্যবস্থা’। এটা কোনোভাবেই ৭১ নয়, কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নয়।”
মাহফুজ আলম বলেন, “যে ব্যবস্থা দিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থাকে রিসেট করার কথা বলেছেন স্যার। সেই ব্যবস্থার ওপর ‘রিসেট বাটন’ টেপা হবে, আমরা একটা ‘নতুন ব্যবস্থা’র ভেতরে ঢুকব।”
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র ইউটিউব চ্যানেলে খালিদ মহিউদ্দিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে আরও বলেন, “আন্দোলনে নাহিদ ইসলাম যে এক দফা ঘোষণা করেছিলেন, যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, স্যার মূলত সেই ব্যবস্থার কথাই বলেছেন।” ১৯৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ সরকার ও আন্দোলনকারীদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী বলেন, “সরকার ও আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সবার অবস্থান খুবই স্পষ্ট যে- ১৯৭১ আমাদের জন্য একটা মাইলস্টোন। ওখান থেকে আমরা শুরু করব। শুধু ওখান থেকেই শুধু নয়, আমাদের একটা বিষয় অনালোচিত ছিল ‘৪৭-এর প্রশ্ন। আমরা ৪৭, ৭১ ও ২৪ কে এক সুতোই গাঁথার চেষ্টায় আছি।”
তিনি বলেন, “পলিটিক্যাল কমকিউনিটি আকারে বাংলাদেশের জনগণ যে লড়াইটা করেছিল বিশেষ করে বাঙালি মুসলমান, এই লড়াইটাতে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। ৭১ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রসঙ্গত, তরুণরা ‘রিসেট বাটন’ চেপেছে; সব পুরনো শেষ- বলে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এমন মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।