দেশ পুনর্গঠনের জন্য যথাযথ সময় না দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও এবং রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওই পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশ পুনর্গঠনের জন্য যথাযথ সময় না দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করা এবং রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনের নামে ১৬ বছরের ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপানো একটি স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্র।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকশ শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে। দাবি করে, যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সিঁড়ি বেয়ে সচিবালয়ের ১৮ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উঠে অবস্থান নেন।
ওই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। বলা হয়, ফলাফল কীভাবে দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
এদিকে রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে শিক্ষা সচিব মহোদয় থেকে শুরু করে আমাদের সবাইকে অবরুদ্ধ করে এক ধরনের বিচ্ছিন্ন অবস্থা তৈরি করে। সেজন্য সচিব মহোদয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এমন কাজ কখনোই কাম্য না। সুতরাং আমরা চাইব আর কখনোই এই ধরনের ডিসিশনের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটা চাপে পড়েই হোক বা যে কোনো কারণেই হোক।”
১৬ বছরের ক্ষত ১৬ দিনে শুকায় না- মন্তব্য করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আহ্বান জানাব, ১৬ বছরের ক্ষত কখনোই ১৬ দিনে শুকায় না৷ তার জন্য সময় দিতে হয়। আপনারা বিভিন্ন দাবিতে যে এখন আন্দোলন করছেন, দেখুন ১৬ বছরের একটি ডিফল্ট সিস্টেমকে স্বাভাবিকীকরণের জন্য সরকারকে একটি সময় দিতে হবে।”