কোটা আন্দোলন ও সাম্প্রতিক সংঘাতের সঙ্গে ড. ইউনূসসহ বিবৃতিদাতাদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা ভেবে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, যুদ্ধ চলছে দেশে ও বিদেশে, সেখানে আজ ওয়ান ইলেভেনের মতো কুশীলব ডক্টর ইউনূস যোগ দিয়েছেন। তিনি আগে গোপনে দেশের বিরোধিতা করলেও এখন প্রকাশ্যে করছেন। বিবৃতি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নতুন নির্বাচনের দাবি করছেন।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিদাতাদের বিদেশে বসে বিবৃতি না দিয়ে বাংলাদেশে এসে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যাওয়ার আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, “একাত্তরের মতো নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বিএনপি-জামাত। ক্ষমতার জন্য তারা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। বেছে নিয়েছে সহিংসতার পথ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ সময় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ আক্রান্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগ আক্রমণকারী নয়। আজকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে সরকার নাকি হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলেছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “মায়াকান্না করতে নয়, বিবেকের টানে শেখ হাসিনা হাসপাতালে যাচ্ছেন। আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন। আর বিএনপি-জামাত বিবৃতির রাজনীতি নিয়ে আছে। তারা মানুষের কাছে যায় না।”
কারফিউ জারি না হলে শ্রীলংকার স্টাইলে গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “করফিউ জারির পর থেকে সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত কাউকে একটা গুলিও ছোড়েনি।”
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।