সড়কে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “এটা তো নতুন করে আমি নির্মাণ করিনি। আগেই হয়ে আছে। আমি কি মন্ত্রী হয়ে গাড়ি রং করব।”
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর সেতুভবনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশে নামার র্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তিনি কথা বলেন।
সারা দেশে এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “১২ বছরে আমরা কম কাজ করিনি। আমাদের অপবাদ দেবেন না।”
তিনি আরও বলেন, বিআরটি প্রকল্পে আমাদের গাফিলতি নেই। ডিসেম্বরে বিশেষায়িত বাস চলে আসবে। এরপরই এ প্রকল্পের সুফল পাবে মানুষ। কাজ হচ্ছে না, বলার সুযোগ নেই। ডিসেম্বরেই চালু হবে। তবে ভারত থেকে বিদ্যুৎচালিত বাস আনার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাদের নির্বাচনের কারণে দেরি হচ্ছে।
ভাঙাচোরা ও লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন গাড়িতে রাস্তা ভরপুর। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ করলে সাংবাদিকরাই বিক্ষোভ করবেন। আমাদের শাখের করাতের অবস্থা। রিপ্লেসমেন্ট হওয়ার আগে এগুলো বন্ধ করলে জনগণ কষ্ট পাবে। এসব বাস তো আমি বন্ধ করতে পারিই।”
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ কারওয়ান বাজার র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরের শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।
বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন।