আইনশৃঙ্খলা যেন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আইনশৃঙ্খলা, যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা যায়।”
সোমবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের ঘটনা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা আসবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল। তারা ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে, তাদের সহায়তা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।”
স্বরাষ্ট্র উদেষ্টা বলেন, “আমি কৃষি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে রয়েছি, সে অনুযায়ী পরবর্তী টার্গেট কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো। আমার লক্ষ্য থাকবে কীভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে লোকজনকে বেশি খাওয়াতে পারি।”
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। সে বিষয়ে তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতিতে উনারা আমাদের কী ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারেন, সে বিষয়ে মূলত আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা কোন কোন খাতে সহযোগিতা চাচ্ছি, সেটাও আলোচনা হয়েছে।”
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলাপ করেছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করছে, আমরা আরও সহযোগিতা চেয়েছি। এক দশমিক দুই মিলিয়ন রোহিঙ্গা, প্রতিদিনই তাদের বাচ্চা বাড়ছে, খরচ বাড়ছে। আমাদের পক্ষে কতদিন এ খরচ বহন করা সম্ভব। এসব বিষয়ে কথা হয়েছে।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, “জাতিসংঘ থেকে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসার কথা, সেটা তারা পাঠাবে। সেক্ষেত্রে তারা আমাদের কোন ধরনের সহযোগিতা করবে, আমরা কোন ধরনের সহযোগিতা চাই, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মেশিন আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসতে পারে।”
