কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলমান সংকট সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহি ও আটক ব্যক্তিদের বিচারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানাল পশ্চিমা দেশগুলো। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব সারা দেশে পুরোদমে ইন্টারনেট চালুর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত ১৩টি দূতাবাস ও হাইকমিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে লেখা এক চিঠিতে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে দেশজুড়ে সংঘাতে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় মর্মাহত ও গভীরভাবে উদ্বিগ প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ১৪টি মিশন।
আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে তারা গভীর উদ্বিগ্ন জানিয়ে চলমান সংকটের টেকসই সমাধান বের করতে ও নতুন করে প্রাণহানি এড়াতে ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে। সব পক্ষকে টেকসই সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছে, সমাধান খুঁজতে ও নতুন প্রাণহানি এড়াতে তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে উৎসাহ দিয়ে যাবে।
তাছাড়া আন্দোলনকে ঘিরে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সব নাগরিকের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বলা হয়, ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি চালু না হওয়ায় দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাস থেকে গত ২৪ জুলাই যৌথ চিঠিটি পাঠানো হয়।