ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও আলোক প্রদর্শনীসহ বর্ণিল নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্ব। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফানুস উড়িয়ে নানা আলোকচ্ছটায় ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়।
গোটা বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মধ্যে চীন, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আতশবাজি ও ড্রোন প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে।
নানা রঙের আলোকচ্ছটায় উজ্জ্বল হলো অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউস এলাকার।রাতের আকাশ। নিচে পানিতে তার চোখজুড়ানো প্রতিচ্ছবি। চারপাশে মানুষের উল্লাস। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫–কে এভাবেই বরণ করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা।
২০২৫ সালের সূচনার সঙ্গে বিদায় নিয়েছে ২০২৪। নানা ঘটন–অঘটনে বেশ আলোচিত ছিল বছরটি। এ বছর দেশে দেশে যেমন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পালাবদল হয়েছে, দুর্যোগ–বিপর্যয়ও কম হয়নি। বিশ্বজুড়ে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিগ্রহ। তবে পুরোনোকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চান বিশ্ববাসী। তাই নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন তাঁরা।
এবার বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে টাইম জোনের হিসাবে বর্ষবরণ শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে। শহরটির স্কাই টাওয়ারে আতশবাজি জ্বালিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ২০২৫ সালকে। টাওয়ারের চূড়ায় তখন ভিন্ন রঙের খেলা। সেখান থেকে ছোড়া হচ্ছিল আতশবাজি। সেই আলোয় যে আলোকিত হচ্ছিল পুরো শহর।
এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্ষবরণের আয়োজন ছিল ভিন্ন। কোনো উদ্যাপন নয়, বরং শোকের মধ্য দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে তারা। কারণ, দিনকয়েক আগে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। দেশটিতে সাত দিনের শোক পালন করা হচ্ছে। রাজধানী সিউলের পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বার্ষিক ঘণ্টা বাজানোর অনুষ্ঠান এবার নীরবতার মধ্য দিয়ে পালিত হবে।
বাকি বিশ্বের চেয়ে জাপানে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণেও ভিন্নতা রয়েছে। এমনিতেই পয়লা জানুয়ারি জাপানে জাতীয় ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে দেশটির ঘরবাড়ি ও মন্দিরগুলো পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করা হয়। এর আগের দিন মধ্যরাতে রাজধানী টোকিওর তোকুদাই–জি মন্দিরে জড়ো হন মানুষ। মধ্যরাতে নতুন বছরের ঘণ্টা বাজানোর আগে সেখানে প্রার্থনা সারেন তাঁরা।
নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনেও। বর্ষবরণের আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, দেশটির অর্থনীতির গতিপথ এখন ঊর্ধ্বগামী। এ সময়ে তাইওয়ান ঘিরে চলমান উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন বর্ষবরণ শুরু হয়েছে।