ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে দেশের ১২ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এরই মধ্যে বন্যায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে এ বৃষ্টি কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। তবে তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, খাগড়াছড়িসহ দক্ষিণ–পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। বুধবার থেকে সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল।
এতে চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যা হয়। পানিবন্দী ও ক্ষতির মুখে পড়েছে ৩৬ লাখ মানুষ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম বিভাগসহ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী রোববার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে ১৫১, চট্টগ্রামে ১৪৩ এবং রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নদীবন্দরের জন্য ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলছে, আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।
আগামী রোববার পর্যন্ত দেশের আট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বৃষ্টি কমতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।