স্বাধীনতার সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেবো। দেশে একটি মানুষ ভূমিহীন, গৃহহীন, অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটি ঘরেই আলো জ্বলবে, ঠিকানাহীনদের ঠিকানা দেবো।”
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর) প্রদানে ঢাবির বিশেষ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। যা বাস্তবায়ন হবে ২০২৬ সাল থেকে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না।”
গবেষণার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দেবেন। তাহলে এই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।”
বক্তব্য শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ না করার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আবার যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে পারতাম এবং মাস্টার্স ডিগ্রিটা শেষ করতে পারতাম, তাহলে খুব খুশি হতাম। পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক ডিগ্রি পেয়েছি। তাতে মন ভরে না। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পেলাম না। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক একটি একটি ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লেখাপড়া করে ডিগ্রি (মাস্টার্স) নিতে পারলে ভালো হতো।”
এ সময় রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এর আগে অনুষ্ঠানে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর সম্মান সূচক ডিগ্রি তুলে দেন।