আগামী পয়লা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, “নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হবে।”
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণবিষয়ক এক অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবাহহীন বলতে পারেন। প্রবাহহীন নদীকে প্রবহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে। মৃত নদী দেখিয়ে নদীর জায়গা ইজারা বা লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কিন্তু হাওরের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। বিলেরও একটা তালিকা চূড়ান্ত করেছি। পরবর্তী কাজ হচ্ছে খালের তালিকা চূড়ান্ত করা।”
অবহিতকরণ সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের আজ থেকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে জেলার সকল খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাছাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা/অনুশাসন প্রদান করেন রিজওয়ানা হাসান।
ঢাকার চারপাশে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এবং শীতলক্ষ্যা এই ৩টি নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার একটা বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করে কাজ শুরুর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “ঢাকার ভেতরে থাকা ২১টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু-নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি এবং এটির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে।
পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা অচিরেই শুরু করে দেবো।”